অন‍্যায়কে কোনদিন প্রশ্রয় দিইনি , দল ছাড়ার হুঁশিয়ারী দিলেন বর্ষীয়ান মাষ্টারমশাই

8th November 2020 5:54 pm হুগলী
অন‍্যায়কে কোনদিন প্রশ্রয় দিইনি , দল ছাড়ার হুঁশিয়ারী দিলেন বর্ষীয়ান মাষ্টারমশাই


সুজিত গৌড় ( হুগলী ) :   দূর্নীতি কে কোনদিন প্রশয় দিইনা  ও দূর্নীতিগ্রস্ত দলের কোনো ব্যাক্তিকে তৃনমূল দলের সভাপতি মানতে নারাজ। রবিবার জেলা তৃনমূল কংগ্রেসের বিভিন্ন ব্লকের ব্লকের সভাপতি নাম ঘোষণার পরই সিঙ্গুর ব্লক সভাপতি গোবিন্দ ধাড়ার নাম ঘোষণার পরই ক্ষোভ উগরে দিলেন সিঙ্গুরের চার বারের বিধায়ক তথা সিঙ্গুর আন্দোলনের কৃষিজমি রক্ষা কমিটির নেতা রবীন্দ্রনাথ ভট্টাচার্য। আগামীদিনে তৃণমূল কংগ্রেসে থাকবেন কিনা তা নিয়েও সন্দেহ প্রকাশ করেছেন। আগে সিঙ্গুর ব্লকের তৃনমূল সভাপতি ছিলেন সিঙ্গুর জমি আন্দোলনের নেতা মহাদেব দাস। তাঁকে সরিয়ে সিঙ্গুর ব্লক সভাপতি গোবিন্দ ধাড়া কে করায় সিঙ্গুরে তৃনমূলের গোষ্ঠী কোন্দল প্রকাশ্যে এল। নতুন ব্লক সভাপতি বিধায়ক বেচারাম মান্নার ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত নসীবপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান গোবিন্দ ধাড়া। এদিন নতুন সভাপতি ঘোষণার পরই বিধায়কের বাড়ি শিবরামবাটি বাড়িতে সাংবাদিক সম্মেলন ডেকে দলেরই বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিলেন। পাশাপাশি সিঙ্গুরের প্রাক্তন ব্লক সভাপতির দাবি, দলের রাজ্য নেতৃত্ব গোষ্ঠী কোন্দল মেটাতে যে নির্দেশ দেওয়া হচ্ছে, তা বাস্তবে কোনো কাজেই লাগছে না। রবিবার সন্ধ্যায় বিধায়কের বাড়িতে ব্লকের বিভিন্ন এলাকা থেকে বিধায়ক অনুগামীরা দল ছাড়ার ইঙ্গিত দিয়েছে। 

 





Others News

নিম্মচাপের জেরে অতিবৃষ্টি : হুগলী জেলায় ব‍্যাপক ক্ষতি চাষে

নিম্মচাপের জেরে অতিবৃষ্টি : হুগলী জেলায় ব‍্যাপক ক্ষতি চাষে


সুজিত গৌড় ( হুগলী ) :  নিম্ন চাপের জেরে শনিবার থেকে অকাল বৃষ্টিতে মাথায় হাত চাষীদের।
জেলায় আলু চাষে ক্ষতির পরিমাণ ছাড়িয়ে যাবে কয়েক লক্ষ টাকার উপর বলে দাবি চাষীদের। ধান জমিতে যেমন ক্ষতির পাশাপাশি হুগলী জেলা জুড়ে ব্যাপক ক্ষতি এবার আলু চাষে। চলতি বছরে বার বার নিম্নচাপ  চাপের জেরে যেভাবে ধান চাষ পিছিয়ে ছিল ঠিক আলু চাষও পিছিয়ে ছিল প্রায় পনোর দিন। তবে গত শুক্রবার পযন্ত হুগলী জেলায় প্রায় ৩০ শতাংশ জমিতে বসানো হয়ে গিয়েছিল আলু এবং ৬০ শতাংশ জমি আলু চাষ উপযোগী করে তুলে ছিলেন চাষীরা। ধান চাষের মত আলু চাষের শুরুতে এবার কাল হয়ে উঠলো অকাল বৃষ্টি। অকাল বৃষ্টির ফলে যে সব জমিতে ইতি মধ্যেই আলু বসানো হয়ে গিয়েছিল, সেই সব জমিতে জল জমে থৈ থৈ করছে। ফলে জমিতে বসানো সমস্ত আলু বীজ পচে নষ্ট হতে বসেছে।  কারণ আলু বসানোর পর অন্তত পনেরো থেকে কুড়ি দিন কোনো জলের প্রয়োজন পরে না আলু চাষের ক্ষত্রে।
এ বছর এক বিঘা জমিতে চাষ উপযোগী করে আলু বসানো পযন্ত চাষীদের খরচ পড়েছে প্রায় পনেরো হাজার টাকা অন্যদিকে আলু বসানোর আগে পর্যন্ত  এক বিঘা জমিকে  চাষ উপযোগী করে তুলতে খরচ পড়েছে প্রায় সাত হাজার টাকা। অর্থাৎ ইতি মধ্যে নিম্ন চাপের জেরে অকাল বর্ষণে হুগলী জেলার ক্ষতির পরিমাণ ছাড়িয়েছে লক্ষ  লক্ষ টাকার উপর। জেলায় আলু চাষের জমির পরিমান ৯০ হাজার হেক্টর জমি। সেমবার সকাল থেকেই  আলু জমি থেকে জল বের করে আলু বীজ বাঁচানোর মরিয়া চেষ্টা করছেন চাষীরা। চাষীদের দাবি অকাল বর্ষণে একেবারে সর্বস্বান্ত  হয়ে পড়েছে। আবার নতুন করে আলু বসানো বা জমি তৈরি করে আবার আলু বসানো অনেকের পক্ষেই আর সম্ভব হবে না।
অন্যদিকে আবহাওয়া উপযোগী হলে পুনরায় জমি আলু চাষের উপযোগী করে আলু বসাতে সময় লাগতে পারে পনেরো থেকে কুড়ি দিন। ফলে আলু চাষে ফলন যেমন কমবে খাবার আলুর জোগানেও পড়বে টান। আগামী দিনে ধানের ক্ষতির ফলে যেমন  চালের যোগান টান পড়ার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে।  ঠিক তেমনি আগামী দিনে খাবার আলুর জোগানেও টান পড়বে বলে মত চাষীদের।